সর্বশেষ

বঙ্গবন্ধু হত্যার তদন্তে কমিশন হবে, 'জানার জন্য নেপথ্যের সত্যকে'

/ কূটনীতিকদের জানালেন আ'লীগ নেতারা /

প্রকাশ :


/ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান /

২৪খবরবিডি: 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ড এবং হত্যার বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের অবহিত করেছে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা চেয়েছেন দলের নেতা ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা।'
 

শনিবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তাঁরা আরও বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন ও সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরতে কমিশন গঠন করা হবে। সত্যকে জানার জন্যই এই কমিশন হবে। আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটি 'ইতিহাসের ইতিহাস :আগস্টের অমোচনীয় চিহ্ন' শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে জাপান, রাশিয়া, জার্মানিসহ ঢাকায় নিযুক্ত ২৫-৩০টি দেশের কূটনীতিকরা অংশ নেন। সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশন হবে। তবে এই কমিশন কারও বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য নয়, সত্যকে জানার জন্যই গঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ইনডেমনিটি আইন তৈরি করে বিচারে বাধা দেওয়া হয়। সে কারণেই বঙ্গবন্ধুর খুনিরা প্রতিষ্ঠিত হয়, দূতাবাসে চাকরি পায়। কোনো অসভ্য দেশেও এ ধরনের আইন থাকতে পারে না। এই আইনটি ছিল কালো অধ্যায়।


-আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে খুনিরা দেশকেই হত্যা করতে চেয়েছিল। এ দেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী জিয়াউর রহমান। তিনি

বঙ্গবন্ধু হত্যার তদন্তে কমিশন হবে, 'জানার জন্য নেপথ্যের সত্যকে'

ইনডেমনিটি আইন তৈরি করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন। তিনি হাজারো সেনা অফিসারকেও হত্যা করেছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।
 

বঙ্গবন্ধুর কিছু খুনি এখনও বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। আশা করব ওই সব দেশের সরকার আইনের শাসনের বিষয়টি উপলব্ধি করবে, খুনিদের ফিরিয়ে দেবে। 'আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জমিরের সভাপতিত্বে এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও উপকমিটির সদস্য সচিব ড. শাম্মি আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ও হত্যা মামলার বাদী আব্দুর রহমান শেখ রমা। এ সময় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে আমন্ত্রিত অতিথি ও বিদেশি কূটনীতিকরা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে তাঁরা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত